বিএনপি আন্দোলনের নামে কোনো নাশকতা-বিশৃংখলা করলে জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগ যেমন কড়া জবাব দেবে তেমনি মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারও কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীতে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশনে তাদের আয়োজিত ইফতার ও বস্ত্র বিতরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে বিএনপির মন্তব্য ‘সরকারের সাথে ফয়সালা রাজপথে হবে’ এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আমরা বিএনপির এই আন্দোলনের হুমকি আমরা গত সাড়ে তেরো বছর ধরে শুনছি উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রে আন্দোলন করার অধিকার থাকে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, গাড়ি পোড়ানো, ভাংচুর হয়, আন্দোলনের নামে যদি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কড়া জবাব দেবে এবং সরকার মানুষের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশন সভাপতি আবিদা সুলতানা মিতুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একসময় হিজড়াদের কোনো পরিচয় ছিলো না, সমাজ তাদের অবহেলিত করে রেখেছিলো। বাংলাদেশে আর কেউ নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম ২০১৩ সালে হিজড়াদের নারী-পুরুষের বাইরে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
সরকারি চাকুরি থেকে শুরু করে সব জায়গায় কাঠামো অনুযায়ী তাদের চাকুরির সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষ পাড়াপ্রতিবেশি থেকে দূরে থাকতো, শেখ হাসিনার সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নিজে তাদেরকে আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় এনে ঘর দিয়ে সবার সাথে বসবাসের মর্যাদা দিয়েছেন, প্রশিক্ষণের সুযোগ দিয়েছেন, যা অন্য কেউ কখনো দেয়নি, ভাবেনি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ১১ নম্বর ভবনের সরু সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলায় হিজড়া ফাউন্ডেশনের অপরিসর অফিসটিতে উপস্থিত হয়ে ড. হাছান মাহমুদ অভিভূত হিজড়া সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পঁচাত্তর সালের পরে জিয়াউর রহমান, এরশাদ সাহেব এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দুইবার এমনকি বিশেষ ধরনের সরকারও দুই বছর ক্ষমতায় ছিলো, কিন্তু কেউ হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে কোনো স্বীকৃতি দেয়নি, দিয়েছেন শুধু শেখ হাসিনা। তাই আপনারা সবাই বঙ্গবন্ধুকন্যার সাথে থাকবেন।’
সভা শেষে হিজড়া সদস্যদের মাঝে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।