আমার_ভায়ের_রক্তে_রাঙানো_একুশে_ফেব্রুয়ারি‘ চিরঞ্জীব গানের গীতিকার ভাষাসৈনিক, বরেণ্য সাংবাদিক সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খপ্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার মৃত্যু এক কিংবদন্তির বেদনাবিধুর প্রয়াণ।
বৃহস্পতিবার (১৯মে) লন্ডনে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ছ’টার দিকে ৮৮ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই সব্যসাচী প্রতিভার মৃত্যুসংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। কান চলচ্চিত্র উৎসবে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের ট্রেলার উদ্বোধন করতে ফ্রান্সে অবস্থানরত ড. হাছান তার শোকবার্তায় বলেন, ‘ভাষাসৈনিক, সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট, সাহিত্যিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যু বাংলাদেশ ও বাঙালির জন্য অত্যন্ত বেদনার।’ ‘মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকার নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক আবদুল গাফফার চৌধুরী আজীবন তার সুচিন্তিত লেখনী দিয়ে দেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলো তথা দেশের মানুষের মননকে সমৃদ্ধ করে গেছেন’ বলেন হাছান মাহমুদ। ‘বঙ্গবন্ধুর সাথে আবদুল গাফফার চৌধুরীর নিবিড় সম্পর্ক ছিল, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান’ উল্লেখ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বাঙ্গনেও অত্যন্ত সম্মানীয় আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার এবং দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকের পাশাপাশি একুশে পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশাল জেলায় জন্ম নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ অনার্স ডিগ্রিধারী এবং মুক্তিযুদ্ধ সাংবাদিকতায় সাহসী সক্রিয় ভূমিকা রাখা আবদুল গাফফার চৌধুরী তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে মাসিক সওগাত এবং দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদসহ আরো কয়েকটি খ্যাতিমান পত্রিকায় সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, নাটকসহ প্রায় ত্রিশটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন, দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও লেখালেখি করেছেন। ১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনপ্রবাসী আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রবাস জীবনেও লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস অঞ্চলের অন্যতম সম্মানীয় ‘ফ্রিম্যান’ ছিলেন।