রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় ওমান ভোররাতে আগত দুই ভাই। এসেই পিতা ও ভাইদের সাথে জড়িয়ে পড়েন বাকবিতণ্ডায়। এটি এক পর্যায়ে রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এতে ভাইদের কিরিচের কোপে গুরুতর আহত হন বড় ভাই, ভাবি ও পিতা এবং ঝগড়া থামাতে এসে গুরুতর আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন অপর এক চাচাতো ভাই।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১০ জুন) ভোর ৭টার দিকে ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া আম্মার বাপের বাড়ি এলাকার মো. হোসেনের(৬০) বসতবাড়িতে তার সন্তানদের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ খোকন জানান, সর্দারপাড়া আম্মার বাপের বাড়ি এলাকার মো. হোসেনের(৬০) বসতবাড়িতে তার সন্তানদের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। তার দুই সন্তান দেলোয়ার হোসেন(২৮) ও মোহাম্মদ হেলাল(২৫) ভোররাতেই প্রবাস থেকে আসেন। এসেই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সাথে পিতা ও বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের(৩০) ঝগড়া লেগে যায়।
একপর্যায়ে তারা কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে প্রবাস ফেরত দুই ভাইয়ের কিরিচ ও লাঠিসোঁটার আঘাতে গুরুতর আহত হয় পিতা, বড় ভাই ও তাদের চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাবি নাহিদা আক্তার(২৩)।
তাদের ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসেন চাচাতো ভাই শামসুল ইসলামের ছেলে মো. নেজাম(২৭)। তিনিও তাদের কিরিচের কোপে গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে নেজামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। বাকিরাও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এই বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দেলোয়ার ও হেলালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে যথাযথ পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হইয়াছে। আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।