মোহাম্মদ ইদ্রিছ:- বৃহস্পতিবার (৭জুলাই) সকাল থেকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়ার সুখবিলাস মুক্তিযোদ্ধা রাজারহাট বাজারে এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে।
দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠেছে । চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলার পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা ও স্থানীয় ক্রেতারা দাম স্বাভাবিক থাকায় পছন্দমতো গরু কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, পদুয়ায় অবস্থিত রাজারহাট (রাজারহাট) হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহে বৃহস্পতিবারে হাটবার হলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার ও শনিবার হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশুর আমদানি হয়েছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বাজারে কথা হয় খুরুশিয়ার একজন গরু বিক্রেতার সাথে তিনি একটি বড় ষাড়ের দাম হেঁকেছেন, ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ক্রেতারা দাম করেছেন, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
রাউজান থেকে আগত কয়েকজন ক্রেতা জানান, তারা কোরবানির জন্য দেশি বড় ও মাঝারী জাতের গরু কিনতে এসেছেন। পছন্দও হয়েছে, আমরা একটি গরু ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। আরো যাচাই বাচাই করছি, আরো কিনব, তবে বড় গরুর তুলনায় মাঝারী জাতের গরুর দাম বেশি।
এদিকে রাজারহাট বাজারের ইজাদার জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য গোয়েন্দা ও মেডিকেল টিম নিয়োগ করেছি। আমাদের হাটে এবার কোরবানির ঈদে অনেক ষাঁড়, গাভী, মহিশ,ছাগল ,সাদা, লাল, কালোসহ বিভিন্ন রঙের গরুগুলো পাওয়া যাচ্ছে।