
রাজস্থলী প্রতিনিধি- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা আর মাত্র কয়েক দিন বাঁকি শারর্দীয়া উৎসবে। পূজাকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার তিনটি পূজা মান্ডপে প্রতিমা সাজানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। উপজেলায় তিনটি পূজা মান্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।তবে পূজার বৃহত্তর আয়োজনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি ( থিম প্রদর্শনের) শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে আয়োজিত পূজা উদযাপন পরিষদ। পূজার উৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতি মধ্যে বেশির ভাগ পূজা মান্ডপ গুলোতে প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ শেষ করে শুরু হয়েছে রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজ। ৫-৬দিন ব্যাপি হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানকার পূজা মান্ডপ গুলোর প্রতিমা নির্মানের কাজ করছে। বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরের পূজা মান্ডপে প্রতিমা কারিগর মৃদুল আচ্যার্য বলেন, এবার বাঙ্গালহালিয়া মন্দিরের প্রতিমা গুলো নির্মানের জন্য ৮০ হাজার টাকায় কন্ট্রাক নিয়েছি প্রতিমা সাজানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে । মাটির কাজ শেষ করে রং তুলির আচড়। প্রতিমা গুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি। আরো জানা গেছে, এবার উপজেলার রাজস্থলী বাজার শ্রী শ্রী হরি মন্দির,বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী দক্ষিণশ্বর কালী মন্দির ও ছাগল খাইয়া শ্রী শ্রী কৃষ্ণ মন্দির প্রতিমা সাজানোর কাজ শেষের পথে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাবুল বরন শর্ম্মা বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও রাজস্থলীতে তিনটি মান্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।বাঙ্গালহালিয়া দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের পূজা মান্ডপের সভাপতি অজয় দে বলেন আমাদের শারর্দীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আনন্দক্ষন ও জাঁক জমক পূর্ন ভাবে পূজার কায্যক্রমে প্রায় ৫-৬লক্ষ টাকা ব্যায় হবে বলে তিনি বলেন ।তবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে প্রতি পূজা মান্ডপে ১মেঃটন চাউল ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৫শ কেজি করে চাল বরাদ্দ পেয়েছেন বলে জানান। রাজস্থলী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন বলেন, তিনটি পূজা মান্ডপে মধ্যে একটি রাজস্থলী থানার অধীনে বাকি দুইটি চন্দ্রঘোনা থানার মধ্যে। তবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা সর্বদা সচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বহী অফিসার শান্তনু কুমার দাস বলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয়া দূর্গা পূজা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তাসহ শান্তি পূর্ন ভাবে উৎসব সম্পর্ন করার লক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ভি,ডি,পি,গ্রাম পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পূজা মান্ডপে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতিটি পূজা মান্ডপের জন্য ৫ শত কেজি করে চাল বরাদ্দ পাওয়া পাওয়া গেছে । সেগুলো পূজা মান্ডপ পরিচালনা কমিটির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান । এবং তিনটি পূজা মান্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানান। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে পূজা মান্ডপের প্রস্তুতি মুলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও শান্তনু কুমার দাস, ওসি জাকির হোসেন। তিনটি পূজা মান্ডপের নেতৃবৃন্দরা জানান উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৈনিক পূজা মান্ডপের সার্বিক খবরাখবর নিচ্ছেন বলে জানান।