মো. ইদ্রিছ (রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি) পদুয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাঙ্গুনিয়ার প্রবীণ রাজনীতিবিদ পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহাবুব আলম চৌধুরীর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন,স্মৃতি সংসদ ও পরিবারের পক্ষ থেকে খতমে কোরআন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও মরহুমের স্মৃতিচারণ করা করা হয়।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজারহাটে পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও মাহাবুব চেয়ারম্যান স্মৃতি সংসদের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত স্বরণ সভা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ছোট ভাই ও বারবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য খামারি,সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী এরশাদ মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউ.পি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ।
মাহবুব আলম চৌধুরী স্মৃতি সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন এমদাদ হোসেন চৌধুরী, ডা:তারেকশ্বর, মাস্টার মো.রফিক,মাস্টার ছাবের আহাম্মদ,জাহিদ হাছান তালুকদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: অন্জন বিশ্বাস,ডা.জসীম উদ্দিন,মো. এ কে খান,মতিউর রহমান, মৌলভী নুরুল আজিম,সত্যজিত দাশ,আহমদ ছৈয়দ,ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল,সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল সায়েদ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক শওকত.ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন,সাধারণ সম্পাদক তারেক উদ্দিন রানা ও পরিবারের পক্ষে মরহুম নেতার সন্তান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার প্রমূখ। স্বরণসভায় উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সমাগম হয়।
এছাড়াও মহরহুমের আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ইউনিয়ন আ:লীগের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা নুরুল আজিম।
আয়োজিত স্বরণ সভায় মরহুম মাহবুব আলম চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
মাহবুব আলম চৌধুরী ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সকাল পৌনে দশটায় আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পদুয়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি দুই দফায় পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর থেকে পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদক থাকার পর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে আসীন ছিলেন। এছাড়া তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ছয়বার সদস্য ও এক মেয়াদে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পদুয়া ডিগ্রি কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, তিন মেয়েসহ আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক অঙ্গনের বহু স্বজন-শুভার্থী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।