নিউজ ডেস্ক: রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ফকিরটিলা এলাকার এক প্রবাসীর ঘরের টয়লেটের সেফটি টাংকি থেকে একটি নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালের দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফকিরটিলা পাড়ার এক প্রবাসীর ঘরের টয়লেটের সেফটি টাংকি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,রাঙ্গুনিয়া পদুয়া পূর্ব খুরুশিয়া
৭নং ওয়ার্ড, ফকিরার টিলা ওমান প্রবাসী মো: জসিমের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (৩০)। তার স্বামী ওমান প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে একই গ্রামের রেজাউল করিম (৬০) এর সাথে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে শারীরিক মেলামেশা করায় দিলুয়ারা বেগম (৩০) অন্ত:স্বত্তা হয়। গত ২১ এপ্রিল সকালে অনুমান ৭ ঘটিকার সময় একজন নবজাতক শিশু ভূমিষ্ট হয়। নবজাতক শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর দিলুয়ারা বেগম এর মেয়ে নাজিফা আকতার (১৩) কে দিয়ে পাশের বাড়ী থেকে দিলুয়ারা বেগম এর মাতা মাবিয়া খাতুন (৬০) কে খবর দিয়ে তার বসত ঘর হতে নিয়ে আসে। একই তারিখ সকাল অনুমান ৭:১০ ঘটিকার সময় আসামী দিলুয়ারা বেগম (৩০), একই এলাকার মাহাবুব আলমের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন (৬০) ও আশ্রাফ আলীর ছেলে রেজাউল করিম (৬০), পিতা-আশ্রাফ আলী, পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে সাধন কল্পে নবজাতক অজ্ঞাতনামা ছেলে শিশু (১ দিন) কে মুখ চেপে ধরে এবং গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করত: লাশ গুম করার জন্য মোঃ জসিম এর বসত বাড়ীর টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর ফেলে দেয়।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মো: হাছান জানান,স্থানীয় লোকজন মারফত সংবাদ পেয়ে এসআই অঞ্জন কুমার দেব সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা নবজাতক ছেলে শিশু (১ দিন) এর মৃতদেহ অদ্য ২৪ এপ্রিল তারিখে ভোর ৪:৪৫ ঘটিকার সময় খবর পেয়ে আসামী দিলুয়ারা এর দেখানো ও সনাক্তমতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে নবজাতক ছেলে শিশুর মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত পূর্বক মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য ময়না তদন্তের নিমিত্তে লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে নবজাতকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা ও নানীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।