নিউজ ডেস্ক: ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগসহ দেশের উপকূলীয় এলাকায় বন্যার ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে ওইসব এলাকার কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
শুক্রবার রাতে পূর্বাভাস কেন্দ্রের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া মৌসুমী নিম্নচাপ ও ভারি বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের মাতামুহুরী, সাঙ্গু, মুহরী, ফেনী, হালদা ও গোমতী নদীর পানি বেড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ তৈরি হওয়ার তথ্য দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। বেলা ৩টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, “এর প্রভাবেই বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। কাল (শনিবার) থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে।”
এদিকে আবহাওয়ার এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, শুক্রবার মধ্যরাতে নিম্নচাপটি বরিশাল ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে শুক্রবার পূর্বাভাস কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশে ও উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী দুই দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এতে করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের কিছু নিচু অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী দুই দিন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে, বলা হয়েছে বুলেটিনে।
সম্ভাব্য বন্যাজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট জেলায় কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের ওই আদেশে।
একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্যাজনিত সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলীয় জেলা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।