![](https://ajkerrangunianews.com/wp-content/uploads/2024/09/IMG_20240920_162937.jpg)
নিউজ ডেস্ক: খাগড়াছড়ির উত্তেজনা ছড়িয়েছে পাশের জেলা রাঙ্গামাটিতেও। এরই মধ্যে জেলা শহরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা-সংঘর্ষে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তবে নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ী একটি মিছিল নিয়ে বনরূপায় গেলে সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বাঙালিদের বেশকিছু দোকানপাট ও বনরূপায় কয়েকটি ধর্মীয় স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়। এসময় রাস্তায় চলাচলকারী প্রচুর যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পর লাঠিসোঠা নিয়ে মাঠে নামে বাঙালিরাও। তাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন সাজান দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা।
রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন জানান, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতেই বনরূপায় দেদারসে বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বনরূপা মসজিদে হামলা ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
রাঙ্গামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া একজন মারা গেছেন। তবে তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।