নিউজ ডেস্ক : তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ৭ই মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হবার মতো নয়। আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন দিবসগুলো চাপিয়ে দিয়েছিলো। যেহেতু নতুন অভ্যুত্থান হয়েছে, তাই নতুন দিবস যুক্ত হতে পারে।
বুধবার জাতীয় আট দিবস বাতিলের ঘোষণার পর দুপুরে এক প্রতিক্রিয়ায় সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এইসব কথা বলেন।
আওয়ামী অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আওয়ামী শেখ মুজিবের মূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে ছিলো। শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকের ভূমিকা আছে। ইতিহাসের বহুমুখীতা আছে। তারা মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।
আওয়ামী অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আওয়ামী শেখ মুজিবের মূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে ছিলো। শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকের ভূমিকা আছে। ইতিহাসের বহুমুখীতা আছে। তারা মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।
নাহিদ বলেন, এতোগুলো জাতীয় দিবস পালনের দরকার নাই। যেগুলো তাৎপর্যপূর্ণ সেগুলো রেখে বাকিগুলো বাতিল করা হবে।
এর আগে একই দিন সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জানানো হয়, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক, চার নভেম্বর সংবিধানসহ আটটি দিবস বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই পোস্টে বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিগগিরই এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ’।
পোস্টে বলা হয়, বাতিল হতে যাওয়া জাতীয় আট দিবসগুলো হলো-
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী
৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস
১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস
৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস
১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবরে ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের চার নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়।