নিউজ ডেস্ক: রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটায় স্কুলে যাওয়ার পথে গত বুধবার দুপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। এর ৪৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অভিযুক্ত রকির সহযোগী ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এস আই সুজাউদ্দৌলা।
আটককৃত বক্তিরা হলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্যম সরফভাটা আমার খাতুর বড়বাড়ীর ১.মোঃ জামালের ছেলে মো: কামাল (২৯),২.রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ইছাখালী মৃত কাজী মোহাম্মদ হারুনের ছেলে হাশেম ইসলাম মুন্না (২৮),৩.পশ্চিম সরফভাটা জাইন্ন্যর বাড়ির ফররুখ আহমদের ছেলে জহির আহম্মদ (৩২) ও ৪.অভিযুক্ত রকির মা জেছমিন প্রঃ রমজানী (৪৬)।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে স্কুলের মধ্যাহ্ন বিরতিতে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি গিয়েছিল। এরপর স্কুলে আসার পথে রকি নামের একজনসহ কয়েকজন বখাটে প্রকাশ্যে ওই ছাত্রীকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সময় স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলের চার শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরেও শিক্ষার্থীরা কাপ্তাই সড়কের গোডাউন এলাকায় অবরোধ করে। এতে প্রায় আধাঘণ্টা সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উদ্ধারের খবরে তারা অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তার পরিবার ও সরফভাটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন বৈদ্য। তারা অভিযুক্ত মূল বখাটেকে গ্রেপ্তারসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এস আই সুজাউদ্দৌলা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত রকির সহযোগী চারজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহর থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণ মামলা দেয়া হয়েছিলো।’
তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/ ৯(১) /৩০ ধারা মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হইয়াছে। আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মূল অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।