
নিউজ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নাগরিক আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এতে একরকম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয় দেশে। পুলিশ সদস্যদের কর্মবিরতিতে তা আরো ঘনীভূত হয়। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। এ সময় তাদের নিরাপত্তা বিধানে এগিয়ে আসেন আলেম সমাজ।
নিরাপত্তা প্রদানে সরফভাটা ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে একটি কাফেলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় পরিদর্শন ও তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি দিলদার বিন কাসেম গণমাধ্যমকে বলেন, সারা বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দেয়া হচ্ছে। আমরা বাঙালি, সবাই ভাই ভাই।
‘সংখ্যালঘুদের বাড়ি কিংবা মন্দিরে হামলা রুখতে আমরা সবসময় প্রস্তুত। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই দায়িত্ব পালন করে যাব। যাতে করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে তাদের কাজ-কর্ম থেকে শুরু করে ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করতে পারেন। আর ইসলাম মানুষকে এটিই শিক্ষা দেয়।’
কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন সময়ে আলেমদেরকে অন্য ধর্মের মানুষের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। আর আজ তাই তাদের এই নির্মম পরিণতি হয়েছে। আমরা সবাই মিলে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ রাষ্ট্র এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘মুসলিম ভাইয়েরা আমাদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে সারা রাত। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। কোনো ধর্মীয় সঙ্ঘাত চাই না।’ এ মহতী উদ্যোগের প্রশংসা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এই উদ্যোগে খুশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ।