
নিউজ ডেস্ক: সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের টি,এ রোডে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনটির আয়োজক ছিল জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। এমন অবস্থায় তার শহরে প্রবেশের বিরাধীতা করে সম্মিলিত কওমী প্রজন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের একটি সংগঠন প্রেসক্লাবের সামনে পাল্টা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষা দেয়।
এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে টি,এ রোড ফকিরাপুল ব্রিজের ওপর তার অনুসারীদের নিয়ে গাড়িতে উঠেন তাহেরী। সেখান থেকে কাউতলী এলাকায় যাওয়ার পথে টি,এ রোডে উপস্থিত মাদরাসার ছাত্ররা চারদিক থেকে ঘেরাও করে তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে তিনিসহ গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হন।
এসময় মাদরাসার বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা গাড়ি থেকে গিয়াস উদ্দিনকে বের করার চেষ্টা করেন। তারা দ্রুত গাড়ি নিয়ে ওইস্থান ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী তার ফেসবুক পেজ এবং সাংবাদিকদের বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি সদর থানায় জানিয়েছেন। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করবেন।
এ বিষয়ে সম্মিলিত কওমী প্রজন্মের সমন্বয়ক কাজী সাইফুর রহমান মুন্না সাংবাদিকদের জানান, প্রশাসনেরর পক্ষ থেকে অনুমতি না দেয়ার পরও তারা এসেছিলেন। মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতা বলতে চেয়েছিলো আপনারা চলে গেলে ভালো হয়। এ নিয়ে ফকিরাপুলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল যে, তারা প্রোগ্রাম করতে এলে ঝামেলা হতে পারে। আমরা বলেছিলাম, ডিসি সাহেবের অনুমতি ছাড়া যাতে তারা প্রোগ্রাম না করেন। তাহেরী সাহেব আমাকে ফোন করে গাড়িতে হামলার অভিযোগ জানিয়েছেন। বলেছি, লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেব।’