নিউজ ডেস্ক: রাঙ্গুনিয়ার ক্রাইম জোন খ্যাত সরফভাটার ইত্যাদি চত্বরে প্রবাস ফেরত যুবক মোহাম্মদ সেকান্দর মামুন (৪১) কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ইত্যাদি চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। সে ইউনিয়নের আলমগীর চেয়ারম্যান বাড়ির মরহুম মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় মোরশেদ, ইমরান ও শুক্কুর নামের আরও তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানায়, ৩০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আলমগীর চেয়ারম্যান বাড়ির সিএনজি চালক মো. কুদ্দুসের (৪০) সাথে পাশের গ্রাম দক্ষিণ পাড়ার এক অটোরিকশা চালকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দু’পক্ষের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ পাড়ার মো. হাছান ও মো. হুমায়ুন বিষয়টি মিমাংসা করতে আসলে তিন পাড়া ঐক্য পরিষদের সাথে ওবাইদুল্লাহ মাতব্বরের গোষ্ঠীর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে তিন পাড়া ঐক্য পরিষদ ও গুচ্ছ গ্ৰামের মাহবুব গ্ৰুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরফভাটা ইত্যাদি চত্বরে ওবায়দুল্লাহ মাতব্বরের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে সদ্য সৌদি প্রবাস ফেরত সেকান্দর মামুন (৪১) কে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়। এসময় এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি ঘটনাও ঘটে।
পরে স্থানীয়রা মামুনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে বিরোধ মিমাংসা বৈঠকে প্রবাস ফেরত যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর থেকে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিপূর্বেও এ এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। স্বামী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা সহ বহু অপরাধ ঘটলেও এসবের না হয়েছে সুষ্ঠ তদন্ত, না হয়েছে উপযুক্ত বিচার। যার ফলে এলাকাটি ক্রমান্বয়ে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।