
নিউজ ডেস্ক: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্ম ও জিয়া শিশুর মেলার ১৩ তম বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে জিয়া শিশু কিশোর মেলার নেতৃবৃন্দ শোভাযাত্রা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের রাঙ্গুনিয়াস্থ প্রথম মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করে দোয়া মুনাজাত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগ,মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর, ও দক্ষিণ জেলার আয়োজনে জিয়ার মাজারের সামনে থেকে শোভাযাত্রা সহকারে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আয়োজিত সভা জিয়া শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এডভোকেট নজরুল ইসলাম সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জাসস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জিয়া শিশু কিশোর মেলার কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।



কক্সবাজার জেলা জিয়া শিশু কিশোর মেলার আহবায়ক প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক দিনকাল পত্রিকা চট্টগ্রামের ব্যুরো চীফ ও জিয়া শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাসান মুকুল,কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী, জিয়া শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো.জহিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহবায়ক মোহাম্মদ সোহেল, কক্সবাজার জেলা সদস্য সচিব মো.শহীদুল্লাহ্, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা জিয়া শিশু কিশোর মেলা আহবায়ক মোহাম্মদ জাফর আলী, উত্তরজেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,শহীদ জিয়াউর রহমানের রক্ত পড়ে আছে, ছুঁয়ে আছে মাটি, তাঁর আদর্শ শিশু কিশোরদের মনে সুন্দরভাবে বিলিয়ে দিতে হবে।

বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রবর্তক শহীদ জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেছেন এখানেই। বুঝাতে হবে সংগঠনের মুল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, আদর্শ ও জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনা গুলো। নারীদের বেশী করে এই কমিটি গুলোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ তারা হচ্ছেন শিশুদের কাছে নিরাপদ।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ যে ইতিহাস সৃস্টি করতে চেয়েছিল, সেটা আপনারা ভাল করে জানেন- দেখেছেন। আমরা বিগত ৫ আগস্ট আবার দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীনতা পেয়েছি। এতদিন এই জিয়ার কবর জঙ্গলে ভরা ছিল, এখন আমাদের কর্মীরা পরিস্কার করেছে। আগে এখানে প্রবেশ করা যেতনা। দোসরদের ষড়যন্ত্রে শহীদ হয়েছেন আমাদের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ৮৯ তম জন্ম দিবসে আজ জাতীয় শিশু কিশোর মেলার ১৩ তম বার্ষিকী। এটা আমাদের তীর্থস্থান, জিয়ার শাহাদাতের রক্ত এখানে পড়ে আছে, ছুঁয়ে আছে মাটি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্মভূমি এখানেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এই চট্টগ্রাম থেকে। শাহাদাৎ বরণ করেছেন এখানেই। চট্টগ্রামের ভূমিকা অনেক।
বক্তারা আরো বলেন, রাজনীতিকে পেশা হিসেবে না নিয়ে নেশা হিসেবে আপনাদের নিতে হবে। যারা পেশা হিসেবে নেয় তাদের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করতে হয়, সেটা যাতে না হয় সেদিকে সকলের থাকা উচিৎ। নেতার পূজা না করে নীতির পূজা করেন। দলকে ভালবাসেন, দলের শৃঙ্খলা মেনে চলেন। কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত সিদান্ত গুলো আমাদের প্রধান পথেয়।
সভায় বক্তারা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি সহ জনবিধ্বংসী সকল প্রকার অপকর্ম রূখে দিতে নেতাকর্মীদের শহীদ জিয়ার আদর্শিক রাজনীতি করার আহবান জানান।