
নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ রাঙ্গুনীয় পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব-খুরুশিয়া কমলাছড়ি ছাতিবুড়ার পাহাড় এলাকায় মোহছেন আলীর কিশোরী কন্যা রিনা আকতারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ৯টা হতে ১১ টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,ভিকটিমের মাতা রেহেনা আকতার ভিকটিমের পিতা মোহছেন আলীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে সে কমলাছড়ি , ছাতিবুড়ার পাহাড় এলাকায় নানী জরিনা বেগম (৬০) এর সাথে বসবাস করতো । কিন্তু কিছুদিন পূর্ব থেকে তার মা রেহেনা আকতার ভিকটিম রিনা আকতারকে তার দ্বিতীয় স্বামীর সংসার কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানা এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন । কিন্তু ভিকটিম তার নানীকে ছেড়ে মায়ের ২য় সংসারে যাইতে ইচ্ছুক ছিল না । গত ১০ (দশ) দিন পূর্বে মা রেহেনা আকতার ভিকটিমকে নেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ হইতে ঘটনাস্থলে আসেন এবং গত শুক্রবার রাজস্থলী থানাধীন বাঙ্গাললহালিয়া তার আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াইতে যায় । ভিকটিমের নানী জরিনা বেগম (৬০) শনিবার ( ৮ মার্চ) সকালে অনুমান ৯ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে ঘরে রেখে স্থানীয় সুখবিলাস শারজাহ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় প্রতিবেশী জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫) জরিনা বেগমের বসতঘরে প্রবেশ করে দেখতে পায় ভিকটিম রিনা আকতার (১৪) বসত ঘরের কাঠের বিমের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে ঝুলে আছে । তাৎক্ষনিকভাবে তার স্বামী সাইফুল ইসলামসহ আশপাশের লোকজন ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় নিচে নামায় এবং তাহার নানী ও মাকে ভিকটিমের মৃত্যুর বিষয়ে সংবাদ প্রদান করেন । ভিকটিমের গলায় কালো দাগ আছে এবং শরীরের অন্য কোন স্থানে কোনো আঘাতের চিহ্ন নাই । ভিকটিমের মা দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে এবং লাশ হেফাজতে গ্রহণ করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে শৈশবকাল হইতে ভিকটিম নানীর সাথে বসবাস করায় এবং বর্তমানে মায়ের ইচ্ছা অনুসারে তাহার ২য় সংসারে যাইতে ইচ্ছুক না হওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেন বলে ধারণা করা হয়।
এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার।
তিনি বলেন,পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব-খুরুশিয়া কমলাছড়ি ছাতিবুড়ার পাহাড় এলাকা থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে
কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল করেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।