নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের পটিয়ায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করা পার্থ বিশ্বাস পিন্টু (২৬) নামক এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গ্রেফতার করে থানায় নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ জনতা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনা ঘটে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পটিয়া থানার মোড়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিত রামগিরি মহারাজের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পটিয়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এতে বক্তব্য দিয়েছিলেন সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা কাজী আখতার হুসাইন আনোয়ারী, ছাত্র প্রতিনিধি কাসেম আল নাহিয়ান, ইসামুদ্দিন মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান নাহিন শিকদার, আব্দুল্লাহ নোমানি, রিয়াদ হুসাইন, মুহাম্মাদ বিন নূর, আম্মার।
কিন্তু এর মধ্যে পটিয়ার পার্থ বিশ্বাস পিন্টু নামক এক যুবক ইসলাম ধর্ম ও নবীকে অবমাননা করে কটূক্তি করেন। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। আজ দুপুরে তাকে পটিয়া থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরক্ষণেই খবর পেয়ে আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনতা থানা ঘেরাও করে আসামি ছিনিয়ে নিতে চান। এতেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে মাওলানা কাজী আখতার হুসাইন আনোয়ারী বলেন, ‘ইসলামে ধর্ম ও নবীকে অবমাননার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ভারতে আগেও অনেকে আমাদের প্রাণের নবীকে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননা করেছে। আমরা এরজন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এমনকি যারা নবীকে অবমাননা করে যাচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় তৌহিদি জনতা ফুঁসে উঠবে।’